নওগাঁ শহরে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪০ থেকে ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের আস্তান মোল্লা ডিগ্রি কলেজের সামনের সড়কে ছাত্রলীগের গাড়িবহরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই কর্মী আহত হন।
পরে গভীর রাতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন। মামলায় জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেওয়ান ফারুক ও মামুন বিন ইসলামসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান বলেন, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ২৫-২৬জন নেতা-কর্মী ১২টি বাইকে বিশ্বকাপ খেলা শেষে আস্তান মোল্লা ডিগ্রি কলেজের সামনে দিয়ে শহরের সরিষাহাটি মোড়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাদের ওপর কতিপয় দুষ্কৃতকারী ককটেল নিক্ষেপ করে। বিস্ফোরণে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোশারফ হোসেন ও নওগাঁ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক এসএম বিশাল সরদার আহত হন। তাদেরকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং রাজনৈতিক স্বার্থ হাছিলের জন্য ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এই হামলা বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত। তবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা নিজেরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। নিজেরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা বিএনপিকে দায়ী করে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং কেডির মোড় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়।
তিনি বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে নেতা-কর্মীরা যাতে অংশ নিতে না পারেন সে উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ এই মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে। এর আগেও একই উদ্দেশ্যে গত কয়েকদিনে রাণীনগর, আত্রাই, পত্নীতলা, সাপাহার ও মহাদেবপুর উপজেলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলা করেছে আওয়ামী লীগ।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান মাহিন বলেন, আস্তান মোল্লা কলেজের সামনে নওগাঁ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের বেশ কয়েক নেতা-কর্মীকে লক্ষ্য করে চারটি ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল