বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মসজিদের মুষ্টির চাল নিয়ে মারপিট মামলায় আদালতে যাবার পথে আসামিদের হামলায় আব্দুল খালেক (৬৫) নামে এক সাক্ষী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের কোদলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল খালেক কোদলাপাড়া গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে। পুলিশ বলছে, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫জনকে থানায় নিয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কোদলাপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ একই গ্রামের মোজাম্মেল হক। প্রায় এক মাস আগে ওই মসজিদের উন্নয়নে মুসল্লিদের বাড়ি থেকে ১ মণ চাল উত্তোলন করে মসজিদ কমিটি। মসজিদের কোষাধ্যক্ষ ওই চাল বাঁকিতে বিক্রি করেন নিহত আব্দুল খালেকের ছোট ভাই আব্দুস ছাত্তারের কাছে। কিন্তু চালের টাকা পরিশোধ করতে তালবাহানা করে আব্দুস ছাত্তার। বিষয়টি নিয়ে ৩ নভেম্বর মসজিদ চত্বরে আব্দুস ছাত্তার ও মোজাম্মেল হকের মাঝে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আব্দুস ছাত্তার বাদি হয়ে বগুড়া আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মোজাম্মেল হক ও তার ছেলে ফজলুল হকসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলার সাক্ষী ছিলেন আব্দুল খালেক। এ মামলায় মঙ্গলবার সকালে আদালতের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন আব্দুল খালেক । পথিমধ্যে আসামিদের বাড়ির পাশের রাস্তায় পৌঁছলে বাদী আব্দুস ছাত্তার ও তার ভাই সাক্ষী আব্দুল খালেকের ওপর হামলা চালায় মামলার ১ নং আসামি ফজলুল হক ও তার লোকজন। এতে আহত হন আব্দুল খালেক। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আব্দুল খালেক অসুস্থ হয়ে না হামলার শিকার হয়ে মারা গেছে সে বিষয়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনক আটক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
