লক্ষ্মীপুরে সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। সুলভ মূল্যের তাজা সবজি এখন জেলাবাসীর চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। শীতকালিন নানা সবজীর সমারোহ আর ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে জমে উঠেছে জেলার সবচাইতে বড় সবজির বাজার পিয়ারাপুর। এ বাজারে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার সবজী বিক্রি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, জেলার সবচাইতে বড় সবজীর বাজার হচ্ছে পিয়ারাপুর বাজার। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা জড়ো হন এ হাটে। স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত পন্য এখানেই বিক্রি করা হয় বেশী। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সবজি আনা নেয়া হয় এখানে। বর্তমানে শীতের মৌসুমে শীতকালিন সবজীতে ভরে গেছে পুরো বাজার। দামও হাতের নাগালের মধ্যে রয়েছে জনসাধারণের। এতে স্বস্তিতে আছেন বলে জানান ক্রেতারা। তবে কৃষকদের কেউ কেউ বলছেন উৎপাদিত পণ্যের কম দামে টিমেতালে চলছে সংসার। কেউ বলছেন নিজেদের পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি সবজী বিক্রি করে বাড়তি টাকায় সংসার চলছে তাদের। বর্তমানে ফুল কপি, বাধা কপি ১৫-৪০ টাকা, শীম ৩০-৪০ টাকা, লাউ-২০ থেকে ৪০ টাকা, কুমড়া ২০ থেকে২৫ বেগুন ১০-১৫, বরবটি ৩০-৩৫, কাঁচা মরিছ কেজি প্রতি ৩৫-৪০ টাকা দরে, মুলা ৩২০ পিছ ১৫০-২০০ টাকা, শষা মন প্রতি ১৮০০-১৯০০, পেপে মন প্রতি ৭০০-৮০০ টাকা ও টমেটো ক্যারেট (২৫-২৭ কেজি) প্রতি ১৮০০-১৯০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া লাল শাক পালুং শাক ১০-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় আড়তদার জহির ও অপর এক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন এ হাটে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার সবজি বেচা কেনা হয়। দাম কম থাকায় এখান থেকে পাইকারি দামে কিনে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করেন বলে জানান তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. জাকির হোসেন জানান, এ জেলার উৎপাদিত সবজি সুস্বাদু হওয়ার কারণে এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। দিন দিন সবজী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে চাষীরা। চলতি মৌসুমে ১ হাজার হেক্টরের বেশী জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন