দিনাজপুরে কয়েকদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কৃষিসহ সবক্ষেত্রেই পড়েছে এর প্রভাব। দোকানপাট খুলছে বেলা ১১টার পর। স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে। শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হলেও কাজ পাচ্ছে না দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। সকালে দূর পাল্লার পরিবহনগুলো কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলছে।
ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বুধবার সকাল ৯টার দিকে দিনাজপুর শহরের নিমনগর ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে কাগজ, পলিথিন, খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সূর্যের দেখা মিললে জনজীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসে। শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি কনকনে শীতল বাতাসে ছিন্নমূল মানুষ ছাড়াও প্রান্তিক চাষিরা মাঠে কাজ করতে পারছে না। সূর্য ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করছে এ অঞ্চলের মানুষ।
নশরতপুরের রফিকুল ইসলাম বলেন, কনকনে শীতের কারণে কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বীজতলা কুঁকড়ে যাচ্ছে। আলুর পরিচর্যা করা যাচ্ছে না। গরু ছাগলকে চটের বস্তা দিয়ে ঝুল বানিয়ে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরকম শীত চলতে থাকলে বোরো চারা রোপণ কিছুটা দেরিতে শুরু করতে হবে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, কয়েকদিন ধরে বাতাসের আদ্রতা ও গতি বাড়ায় এবং ঠিকমতো সূর্য না ওঠায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। বুধবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই