পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে আসা একটি বন্য হনুমানকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বিবাহ রেজিস্টার নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। তিনি লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করে হনুমানটি হত্যা করছে এবং মাটি চাপা দিয়েছে।
ইন্দুরকানী থানা সূত্রে জানা যায়, ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্টার মোঃ নুরুল ইসলামের বাড়িতে রবিবার দুপুরে একটি দলছুট বন্য হনুমান আসলে হনুমানটিকে তিনি লোহার শাবল দিয়ে কোপ দেয়। শাবলের আঘাতে হনুমানটি সেখানেই মারা যায়। পরে নুরুল ইসলাম হনুমানটিকে তার ঘরের পিছনে মাটি চাপা দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা পিরোজপুর বন বিভাগকে জানায়। খবর পেয়ে সোমবার (১৬ জানুয়ারী) বিকেলে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ ও পিরোজপুর বন বিভাগ নুরুল ইসলামের বসতবাড়ির পিছন থেকে মাটি চাপা দেয়া মৃত্যু হনুমানটিকে উদ্ধার করে ইন্দুরকানী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে আসে। সেখানে মৃত হনুমানটির পোস্টমর্টেম সম্পন্ন হয়।
অভিযুক্ত কাজী মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, হনুমানটি আমি মারিনি। আমার বাসার কাছে এটি মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে দুর্গন্ধ ছড়াবে ভেবে আমি হনুমানটি মাটি চাপা দিয়েছি।
পিরোজপুর বন কর্মকর্তা আবু সালেহ বলেন, হনুমানটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে হনুমানটি খাবারের সন্ধানে বাসাবাড়িতে ঢুকেছিল। এ সময় তার পেটে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। হনুমানটির পেটের উপরে একটি বড় জখম রয়েছে।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো: এনামুল হক জানান, আঘাতে জখম হওয়া মাটি চাপা দেওয়া মৃত হনুমানটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম