নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ ধীরগতি কেন হচ্ছে তা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। কুমিল্লায় আমি ১৫ থেকে ২০টি কেন্দ্রে মক ভোটিং দেখেছি। এতে ভোট দিতে সর্বনিম্ন ৩০ সেকেন্ড ও সর্বোচ্চ ৫১ সেকেন্ড লাগে। আমরা যদি ইভিএমে ভোটপ্রদান ভোটাদের ভালোভাবে বোঝাতে পারি, তাহলে ভোট প্রদানে ধীরগতি থাকবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল ভোটারদের ভোট প্রদান নিশ্চিতে ইভিএম মেশিনে দশ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউসে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি সংশোধন কর্তৃপক্ষের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, হলফনামায় প্রার্থীরা তাদের সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেন। নির্বাচনের কয়েক বছর পর প্রার্থীর সম্পদ নিয়ে নানা তথ্য আসে। সে বিষয়টি নিয়ে দুদক, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও এনবিআর কাজ করবে। নির্বাচন কমিশন নয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের ভোটার হালনাগাদ শেষ হয়েছে। এর সংশোধনের যে আইন-কানুন রয়েছে তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। আমরা একটি নিখুঁত ও গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকার মাধ্যমে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই। আমাদের কাজে ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। আমরা সমালোচনায় বিশ্বাসী। প্রত্যেক জনগণের চোখই হলো আমাদের সিসি ক্যামেরা।
আহসান হাবিব খান বলেন, নোয়াখালীতে নির্বাচনে একজনের ভোট অন্যজন প্রদান করার অপরাধে আমরা এক নারীকে কারাদণ্ড দিয়েছি। সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে লেখা হয়েছে। অস্বচ্ছতার জন্য গাইবান্ধা নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কমিশন বদ্ধ পরিকর। তিনি বলেন, কোনো এক সময় দেশে এক কোটির ওপরে ভুয়া ভোটার ছিল। ভুয়া ভোটার যেন না থাকে সেই লক্ষ্যে নির্ভুল তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। দেশে ৫’শর বেশি ইভিএমে নির্বাচন পরিচালনা করা হয়েছে। কোথাও একটা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া কিংবা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। কারণ ইভিএমে ব্যালট নেই তাই লুটপাট করে নির্বাচন বানচাল কিংবা সিল মারার ব্যবস্থা নেই। এটি আমাদের সকলের জন্য বিরাট প্রাপ্তি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আব্দুল বাতেন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিনসহ নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
