যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রীকে মারধর করে শিশু সন্তান নিয়ে পালানোর অভিযোগে স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে স্ত্রী। বুধবার সকালে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার রাতে বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে দক্ষিণ ইটবাড়ীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মামলায় আসামি করা হয়েছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার টামটা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে রাসেল হোসেন ও তার বাবা খোরশেদ আলমকে।
জানা যায়, বাদী নুসরত জাহান ভাবনার সঙ্গে ২০১৮ সালে রাসেল হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর পরই রাসেল হোসেন ও তার বাবা খোরশেদ আলম ব্যবসা করার জন্য ভাবনার নিকট পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকে। সর্বশেষ ২৩ জানুয়ারি আসামিরা বাদীর নিকট পুনরায় পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। বাদী যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রাসেল হোসেন উত্তেজিত হয়ে ভাবনাকে কিলঘুষি ও লাথি মেরে মারাত্মক আহত করে।
নুসরত জাহান ভাবনা বলেন, যৌতুকের দাবিতে ঘটনার রাতে তাকে মারধর করার পরে ওই রাতেই আমরা মীমাংসা করে ফেলি। রাসেলকে বলেছি আমার বাবা নেই, সম্পত্তি ভাগ হলে তোমাকে টাকা দেব। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আমি ও আমার মা তাদের জন্য সকালের নাস্তা তৈরি করতে যাই।
এই ফাঁকে রাসেল ও আমার শ্বশুর খোরশেদ আলম আমাদের শিশু সন্তান রাবেয়াকে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। রান্নাঘর থেকে নাস্তা নিয়ে এসে আমার স্বামী-শ্বশুর ও আমাদের শিশু কন্যাকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে থাকি। পরে রাসেলের নিকট ফোন করে আমার সন্তান ফেরত চাইলেও ফেরত দেননি বলে অভিযোগ করেন বাদী নুসরত জাহান।
বিডি প্রতিদিন/এমআই