বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ১৪৩ ভোট কেন্দ্র প্রায় ৪ লাখ মানুষ ভোটা প্রয়োগ করবে। এক অপ্রত্যাশিত উপ নির্বাচন আপনাদের মাথার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। একাদশ নির্বাচনের মাত্র ১১ মাস আগে এই আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য চার বছর সব সুবিধা ভোগ করে পদত্যাগ করলেন। বিএনপি-জামাত শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতে সবরকম ষড়ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই সরকারকে দেশি-বিদেশি সবরকম ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়া এক বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশে চিকিৎসা, সড়ক ও বিদ্যুৎ কিছুই ছিলো না। সেই সময় মানুষ স্বপ্ন দেখা বাদ দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। ২০১৪ সালেও নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে হাজার হাজার যানবাহন পুড়িয়েছে, হত্যা করেছে শত শত মানুষ। তাদের তাণ্ডব থেকে সরকারি অফিসও বাদ যায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনি পুলিশ ও বিজিবি পিটিয়ে হত্যা করেছে এই সন্ত্রাসীরা। বগুড়ার মমতাজ ভাইয়ের বাড়ি ও পুলিশ স্টেশন বাদ যায়নি। সেই পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণ করেছেন শেখ হাসিনা। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর রাগেবুল আহসান রিপু বগুড়ায় স্থিতশীলতা ও শান্তির সুবাতাস নিয়ে আসবেন। আপনারা শেখ হাসিনাকে নৌকা উপহার দিলে উন্নয়ন উপহার পাবেন।
বুধবার বিকেল ৫ টার দিকে বগুড়া জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ নির্বাচনে নৌর্কা মার্কার পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে পেশাজীবীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। এসময় অন্যানদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সফিক, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন মুকুল, এ্যাড. আব্দুল মতিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু ও সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু। পুরো আয়োজনের সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন