২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ২২:১৩

কাশিমপুর কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যার চেষ্টা, পরে মৃত্যু

গাজীপুর প্রতিনিধি

কাশিমপুর কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যার চেষ্টা, পরে মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও সর্বপ্রধান কারারক্ষী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এঘটনা তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

নিহতের নাম নজরুল ইসলাম (৩০)। তিনি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাবদা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে। 

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, ২০২১ সালের ২০ মার্চ থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন নজরুল ইসলাম। তিনি স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি মানসিক রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসকের তত্তাবধানে মানসিক রোগীর ওয়ার্ডে ছিলেন তিনি। বৃহষ্পতিবার সকালে তাকে কারাগারের ওই ওয়ার্ডের ভিতরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন কারারক্ষীরা। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু তার অবস্থার উন্নতি না হলে পরে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে নজরুল ইসলামের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় কারাগারের সর্বপ্রধান কারারক্ষী হামিদ গাজী, সহকারী প্রধান কারারক্ষী মঈন উদ্দীন ও কারারক্ষী রফিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে কারারক্ষী রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। 

ওই কারা কর্মকর্তা জানান, ঘটনা তদন্তের জন্য ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারাগারের জেলার লুৎফর রহমানকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটিতে একজন ডেপুটি জেলার, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন কারারক্ষীকে সদস্য করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৫ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর