৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:৩৯

বিশ্বনাথে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি


বিশ্বনাথে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

সিলেটের বিশ্বনাথে হাওর থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধারের পর তার  মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন প্রাথমিক ধারণায় এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে আখ্যা দিলেও, বৃদ্ধের পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। গ্রামের প্রতিপক্ষরাই বৃদ্ধকে হত্যা করে লাশ হাওরে ফেলে রাখে বলে ধারণা তাদের। তবে, পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনেও উঠে আসে স্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি। লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে থাকা বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছিলেন, লাশের গায়ে পাওয়া যায়নি আঘাতের কোনো চিহ্ন। অবস্থা অবলোকনে প্রতিয়মান হচ্ছে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু।

গেল ৩০ জানুয়ারি উপজেলার চাউলধনী হাওরের একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয় আসক আলী (৭৫) নামের ওই বৃদ্ধের লাশ। তিনি স্থানীয় জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা।   
এ ঘটনার ৫ দিন পর একই গ্রামের প্রতিপক্ষ দুই জনকে অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা মামলা করেন বৃদ্ধের ছেলে বাবুল মিয়া। মামলায় আসামি করা হয় গ্রামের মখলিছ আলীর ছেলে জুবেল মিয়া (৪০) ও লেবু মিয়াকে (৩৬)। 

এজাহারে প্রকাশ, গত ২৯ জানুয়ারি দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে আমার পিতা হাজী আশক আলী তাহাজ্জুদ নামায আদায়ের লক্ষ্যে অজু করতে বাড়ির পূর্বের পুকুর ঘাটে যান। এরপর তিনি ঘরে ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করি। পরদিন ৩০ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে আমাদের বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে চাউলধনী হাওরের সমস্যার খালে তার লাশের সন্ধান পাই। লাশের কিছু অংশ কচুরিপানা ও ময়লা-আবর্জনায় ঢাকা ছিল। বিশ্বনাথ থানা পুলিশ যখন লাশ উদ্ধার করে, তখন দেখতে পাই-আমার পিতার মুখের ভেতরে কাঠের টুকরো ঢুকানো।

এ বিষয়ে কথা হলে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে জানা যাবে, ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর সঠিক কারণ। আপাততঃ তদন্ত কাজ চলছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর