শেরপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচন গতকাল অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সাধারণ সম্পাদকের ফল প্রকাশের সময় চরম বিশৃঙ্খলা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় লাঞ্ছিত হয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. নূরল ইসলাম। ঘটনার সাড়ে তিন ঘণ্টা পর রাত ১০টার দিকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, অন্যান্য পদে ভোট গণনা স্বাভাবিক ভাবে হলেও প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর মধ্যে ২ ভোট ব্যবধান হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদে দুই দফায় ভোট গণনা হয়। গণনায় ওই পদে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নূরে আলম হীরা ৮৩ ভোট ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মমতাজ উদ্দিন মুন্না ৮১ ভোট পান। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা ভোট পুনর্গণনার আবেদন করেন। বিএনপি পন্থি আইজীবীরা ফলাফল ঘোষণার চাপ দেয়। শুরু হয় উত্তেজনা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা বলে ৩০ মিনিট পরে চেয়ারে এসেই ফলাফল ঘোষণা করার এক পর্যায়ে সাধারণ সম্পাদকের পদে পরে ভোট গুণে ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানান। শুরু হয় হাতিহাতি। এর মধ্যেই কজন আইনজীবীর সহয়তায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্যালট বাক্সসহ ভোট কেন্দ্রের পাশেই মূল সমিতির কামরায় চলে যান। যাওয়ার পথে লাঞ্ছিত হন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আদালতের পিপি জৈষ্ঠ্য আইনজীবী চন্দন কুমার পাল ও পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে দু'পক্ষের বৈঠক হয়। বৈঠকে দু'পক্ষই অনড় অবস্থানে থাকেন। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন ব্যালেট বাক্স মূল ভবনে সরিয়ে এনে কারসাজি করে এখানে ভোট পুনর্গণনার করা বেআইনী। ভোটে কোন কারসাজি হয়নি বলে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা দাবি করেন। পুনর্গণনায় মুন্না পান ৮১ ভোট আর হীরা পান ৭৯। মুন্নাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয।
নির্বাচনে এমকে মোরাদ সভাপতি, মমতাজ উদ্দিন মুন্না সাধারণ সম্পাদক, হরিদাস সাহা, রুকুনুজ্জামান(রোকন) সহ-সভাপতি, রেদুয়ানুল হক আবীর সহসাধারণ সম্পাদক, খোরশেদ আলম, আশরাফুজ্জামান ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি সম্পাদক, পলাশ কুমার নন্দি অডিটর, মোক্তারুজ্জামান (মোক্তার) সাহিত্য ও পাঠাগার, এস আর জয়, শাহরিয়া আরিফ, ফয়সাল আহমে নূর, এম চান মিয়া সদস্য নির্বাচিত হন।বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন