আগামী ১৬ মার্চ ফরিদপুর সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া বিএনপি নির্বাচন অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দলের একাধিক নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন।
দলের মধ্যে থাকা বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে নেমেছেন দলটির সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ। এছাড়া কোতয়ালী আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক শামচুল আলম বিদ্রোহী প্রার্থীদের চিঠি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ সাক্ষরিত চিঠি দিয়ে বলা হয়, আগামী ১৬ মার্চ ফরিদপুর সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেকেই দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তাদের বেশ কয়েকবার নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অনুরোধ করা হয়েছে। গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, এখনো জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনা না মেনে অনেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন। বিদ্রোহী এসব প্রার্থীদের আগামী তিন দিনের (৯ মার্চ) মধ্যে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে, কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই দলের সকল বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারন দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কোতয়ালী আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক শামচুল আলম সাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৬ মার্চ নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে আপনি দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। বেশ কয়েকবার নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে এখনো জেলা আওয়ামী লীগের সে নির্দেশনা না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন। সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা অনুযায়ী আপনাকে কেন দল থেকে বহিষ্কার করা হবেনা-সে বিষয়ে আগামী ৮ মার্চের মধ্যে কারণ দর্শানোর চিঠির জবাব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হইলো। অন্যথায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ