১২ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:১৮

প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১

নাটোর প্রতিনিধি

প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১

নাটোরের বড়াইগ্রামে এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ শেষে পালিয়ে যায় এক ধর্ষক। পরে ধর্ষক উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতে আত্মগোপন করে। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হলো না। পুলিশ ওই ধর্ষককে আটক করে বুধবার দুপুরে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। 

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের একটি গ্রামের প্রতিবন্ধীকে তার মা মাঠে ছাগল পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে নামাজ আদায়ের জন্য অদূরেই নিজ বাড়িতে আসেন। এ সুযোগে একই এলাকার রমিজউদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে ও ২ সন্তানের জনক কৃষক অহিদুল ব্যাপারী (৪২) ওই তরুণীকে মুখ চেপে ধরে পাশের ভূট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায় ও জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তার মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। 

এদিকে ধর্ষণ শেষে নিজেকে বাঁচাতে স্থানীয় মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলালের বাড়িতে আত্মগোপন করে ধর্ষক। এ ব্যাপারে তরুণীর ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানের আগ্রাণস্থ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। এ দিকে একজন ধর্ষককে এভাবে আশ্রয় দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।  

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল জানান, আমার বাড়ি থেকে এভাবে কাউকে আটক করায় আমার মান-সম্মান নষ্ট হয়েছে। পুলিশ আমাকে জানালে আমি তাকে অনত্র চলে যেতে বলতাম এবং সেখান থেকে আটক করতে পারতো। 
থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, একজন ইউপি চেয়ারম্যান এভাবে অপরাধীকে আশ্রয় দিবে এমনটা কখনই প্রত্যাশা করি না। বরং উনার দায়িত্ব ছিলো অপরাধীকে ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করা। তিনি আরও জানান, দুপুরে আসামি অহিদুল ব্যাপারীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।  

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর