তিন লক্ষ পিস ইয়াবা পাচারের মামলায় ৬ রোহিঙ্গাকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, একইসাথে প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদয়ে আরো ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। একই কার্যালয়ের জেলা নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলো মিয়ানমারের আকিয়াবের সুলতান আহমদ এর পুত্র রহিম উল্লাহ, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার পকটু থানার আলী পাড়ার মিউরকুলের কাদির হোসেনের পুত্র এনামুল হোসেন, মতুল হোসেনের পুত্র নজির আহমদ, মৃত হাবিরুনের পুত্র মোঃ করিম, মৃত মোহাম্মদ এর পুত্র মোঃ রফিক ও মৃত রহিম উল্লাহর পুত্র মোঃ ফারুক। সকল আসামি পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ ও আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ মামলাটি পরিচালনা করেন।
২০১৭ সালের ৩ আগস্ট রাত পৌনে ২ টার দিকে কোস্ট গার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশি সমুদ্রসীমায় সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপের তিন কিলোমিটার পূর্ব দিকে প্রবেশ করা একটি বোট আটক করে। পরে বোট থেকে ৬ জন মিয়ানমারের নাগরিককে গ্রেফতার এবং বোট তল্লাশি করে ৩ লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় কোস্ট গার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের কর্মকর্তা এম. মশিউর রহমান বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি বিচারের জন্য ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ, সাক্ষীদের আসামীদের পক্ষে জেরা, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট যাচাই, যুক্তিতর্কসহ বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সোমবার মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। রায় ঘোষণার দিনে আসামিদের ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর টেবিল ৯ (খ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল রায় ঘোষণা করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ