১৭ মে, ২০২৩ ১৫:০৮

মিয়ানমারে ‘মানুষ বন্ধক’ রেখে ইয়াবা আনা জাকির সহযোগীসহ গ্রেফতার

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমারে ‘মানুষ বন্ধক’ রেখে ইয়াবা আনা জাকির সহযোগীসহ গ্রেফতার

গ্রেফতার ব্যক্তিরা

মিয়ানমারের ডিলারের কাছে ‘মানুষ বন্ধক’ রেখে চোরাই পথে বাংলাদেশে ইয়াবা আনা টেকনাফের জাকির আহমেদ জকিরকে সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ১৫। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ৪০ হাজার ইয়াবা।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের আল মাছিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার মসজিদের সামনের রাস্তায় এ অভিযান চালানো হয়।

গ্রেফতার জাকির আহমেদ জকির (৩৯) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাজমপাড়া এলাকার মৃত সালেহ আহমদের ছেলে। তার সহযোগী মো. ইসমাইল (৩৫) একই এলাকার নুরুল বসরের ছেলে। এর মধ্যে জাকিরের নামে টেকনাফ থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানিয়েছেন, গত ১৫ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জসিম নামে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে মিয়ানমারের ইয়াবা ডিলার কর্তৃক নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। উক্ত ভাইরাল ভিডিওতে কথিত জসিম নিজেই জানায় টেকনাফ হাজম পাড়ার সালেহ আহমদের ছেলে জাকির তাকে মিয়ানমারের ইয়াবা ডিলারের কাছে বন্ধক রেখে ২৫ লাখ টাকার ইয়াবা নিয়ে আসে। ইয়াবার টাকা পরিশোধ না করায় ইয়াবা ডিলাররা জসিমকে শারীরিক নির্যাতন করে। ভিডিও প্রকাশের পরেই সংশ্লিষ্ট মাদক কারবারিরা আত্মগোপনে চলে যায়। র‌্যাবের দৃষ্টিগোচরে আসার পর র‌্যাব-১৫ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ র‌্যাবের আভিযানিক দল অভিযান অব্যাহত রাখে।

তিনি জানান, এর সূত্র ধরে র‌্যাব জানতে পারে জাকির মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে সাগর পথে মহেশখালী হয়ে চৌফলদন্ডি ঘাটে আসবে এবং ওখান থেকে ঈদগাঁওতে ইয়াবা চালান পৌঁছে দেবে। এমন খবরে র‌্যাব ১৫ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আল মাছিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার মসজিদের সামনে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা সিএনজি থেকে নেমে দুইজন ব্যক্তি কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে র‌্যাবের আভিযানিক দল তাদের আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪০ হাজার ইয়াবা। এরপর তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকির জানায় যে, সে টেকনাফ ও উখিয়া থানা এলাকার ইয়াবা গডফাদার এবং তার সহযোগীদের সহায়তায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোককে সীমান্তবর্তী মিয়ানমার এলাকায় বন্ধক রেখে ইয়াবার বড় বড় চালান নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে মামলা করে দুজনকে কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর