মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে দুই আদম ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে। আটকরা হলেন, আদম ব্যবসায়ী মো: সাগর (৩০) ও তার মা লালফাতুন খাতুন (৫৫)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মুজিবনগর থানা পুলিশের ওসি মেহেদি রাসেল বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘আদম দালালের খপ্পরে নিঃস্ব অর্ধশত পরিবার’ এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি মেহেরপুর পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়। মেহেরপুর পুলিশ সুপারের নির্দেশে মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। আজ বৃস্পতিবার সকালে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের কলেজ পাড়ায় আব্দুর রশিদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় আব্দুর রশিদের স্ত্রী লালফাতুন খাতুন (৫৫) ও তার ছেলে সাগর আলীকে (৩০) আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলকভাবে অধিক বেতনের আশ্বাস দিয়ে বিদেশে কর্মী পাঠানের নামে অর্থ গ্রহণ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্পর্কিত চাহিদাপত্র ভিসা সংগ্রহ করে আটকে রেখে ক্রয় বিক্রয় ও সহায়তা সংক্রান্ত অভিযোগে বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং অভিবাসী আইন/২০১৩ এর ৩২ (ক) (খ) (গ )(ঘ)/৩৩ /৩৬ ধারায় মুজিবনগর থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ১১। জিঞ্জাসাবাদ শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন (সোমবার) বাংলাদেশ প্রতিদিনের দেশগ্রাম পাতায় ‘মেহেরপুরে দালাদের খপ্পরে নিঃশ্ব আর্ধশত পরিবার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদে ভুক্তভোগী মোনাখালি গ্রামের কাজল বিশ্বাস বলেন, দারিয়াপুর গ্রামের আদম দালাল সাগর আলীর ও তার মা লালফাতুন খাতুনের মাধ্যমে সৌদি আরব যায়। সৌদি পৌঁছানোর পর আমরা বুঝতে পারি জাল ভিসায় এসেছি। তিন মাসে কোন কাজ মেলেনি। পরে পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে ১৪ দিন জেল খেটে বাড়ি ফিরে আসি। বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর কথা স্বীকার করে সাগর বলেন, ১৮ জনকে সৌদি পাঠিয়েছি। প্রথম দিকে কোম্পানির একটু সমস্যা হয়েছিল। বিদেশে শ্রমিক পাঠানো কাজের কোন লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে সাগর বলেন, আমার এক মামার মাধ্যমে বিদেশ পাঠাই।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল