পোশাক কারখানায় কাজ শেষে হাইওয়ে মিনিবাসে করে বাসায় ফিরছিলেন এক নারী। পথে ভালুকা সীডস্টোর এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে যায়। এসময় ওই নারী একা থাকায় চলন্ত বাসেই ধর্ষণ চেষ্টা চালায় চালক ও তার দুই সহকারী। তখন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন ওই নারী। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে মারধর করে তারা। পরে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় পয়ত্রিশোর্ধ ওই নারীকে।
জানা যায়, চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়ায় ওই নারী মাথায় আঘাত পান। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে তাকে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সীডস্টোর বাজরে অন্য সব যাত্রী নামিয়ে দেবার পর এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা। তিনি জানান, এ ঘটনার পরপরই হাইওয়ে পুলিশ বাসটিকে আটক করে। পরে ওই রাতেই পুলিশ চালকের দুই সহকারীকে ভালুকা থেকে ও চালককে ত্রিশাল উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হচ্ছে- চালক রাকিব (২১), চালকের সহকারি আরিফ (২০) ও সুপারভাইজার আনন্দ দাস (১৯)।
ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, শনিবার বিকালে ভালুকা থানায় ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সার্জারি ইউনিটের চিতিৎসক ইফতেখার আনাম নোমান জানান, বাস থেকে ফেলে দেয়ায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলে যায় ওই নারীর। তবে সিটিস্ক্যান রিপোর্টে মাথায় রক্তক্ষরণের বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে শনিবার সকালে তাকে নিউরো সার্জারিতে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেয়া হয়। তিনি শঙ্কামুক্ত নন।
বিডি প্রতিদিন/এএম