কুড়িগ্রামে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সবকটি নদ-নদীর পানি কমে এখন বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে বইছে। দুধকুমার নদের পানি কমে বিপৎসীমার মাত্র ৪৬ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদ-নদীর পানি অনেক কমে নদী তীববর্তী ও চরাঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে।
কিন্তু বন্যার্ত মানুষদের দুর্ভোগ এখনও কমেনি। বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় বন্যার্তরা কষ্টে রয়েছে। দুর্গত এলাকাসমুহে দেখা দিয়েছে গো-খাদ্য সংকট ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকট। গত ৫ দিনের উজানের ঢল ও অবিরাম বৃষ্টির কারনে নদনদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার পানিবন্দি মানুষগুলো কষ্টে জীবন যাপন করছে। জেলার ৪ উপজেলার অন্তত ৬০টি গ্রামের মানুষের বসতবাড়ীতে পানি প্রবেশ করে তাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। রাস্তাঘাট ও ব্রিজের ওপর পানি উঠে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার রহমান হোসেন জানান, প্রত্যেকবারে নদীর পানি বাড়লে বন্যা শুরু হয়।এবারো তার কোন কমতি নেই।কিন্তু এ ব্রীজটি পানির কারনে ডুবে যায় এবং রাস্তায় আমাদের চলাচলে অনেক অসুবিধা হয়।ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার ভোট নেয় কিন্তু শুকনা মৌসুমে রাস্তা ভালো করার উদ্যোগ নেয়না।ফলে এখন বন্যায় আমরা যাতায়াতে অনেক কষ্টে আছি।
এদিকে, পানি কমার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। স্থানীয় পাউেবা জানায়, রাজারহাট উপজেলার রামহরি এলাকায় তিস্তা নদীর প্রবল ভাঙন, রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নে বাজার এলাকা ও স্কুল এলাকায় ভাঙন, বামনডাঙায় কাঁচা রাস্তা ভেঙে যাওয়া, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লাহাট, বেগম নুরুন্নাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নাগেশ্বরী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় নদী ভাঙন চলছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বর্তমানে নদনদীর পানি কমতে থাকায় ২৬টি পয়েন্টে নদী ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করেছে। যেসব এলাকায় নদী ভাঙছে তা প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।কিন্তু প্রবল স্রোতে পূর্ণভাবে প্রতিরোধ করা কষ্টকর হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম