পাবনায় চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৮ জন। ঈদে ঘরমুখো মানুষের মাধ্যমে এ সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য সচেতন মহল।
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সবচেয়ে বড় সংখ্যা রাজধানীতে। সচেতন মহল বলছেন, ঈদে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরা লোকজন কেউ কেউ জ্বর নিয়েও ফিরছেন। এরা অনেকেই ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করছেন। এদের মাধ্যমে এ সংখ্যা বাড়তে পারে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি জেলায় প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। জেলায় প্রতি ৩ দিনে গড়ে ১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আক্রান্তরা প্রায় সবাই পৌরসভা বা শহরের বাসিন্দা।
জেলায় চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত বছর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৮ জন। এ বছর মোট আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ জন, বাকি ২ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত বছর জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের ২ জনের মৃত্যু হলেও এ বছর এখন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কোনো রোগী মারা যায়নি।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রধান জানান, পৌরসভার আওতাধীন সকল ড্রেন, খাল ও ঝোপঝাড় যেগুলো এডিস মশার বংশ বিস্তারে ভূমিকা রাখতে পারে সেসব ইতিমধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে এবং পুনরায় পরিষ্কার করার কাজ চলছে। মশা নিধনে ঔষধ ছিটানোসহ পৌরসভার পক্ষ থেকে আমরা সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পৌরসভার বাসিন্দাদের কাছেও আহ্বান জানিয়েছি, দীর্ঘদিন কোথাও পানি বা ময়লা জমা না রাখতে এবং নিজ দায়িত্বে এগুলো পরিষ্কার করতে।
পাবনা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল কবির বলেন, পাবনায় ডেঙ্গুর অবস্থা এখনও তেমন খারাপ হয়নি। যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা প্রায় সবাই সুস্থ হয়েছেন। তবে ঈদে ঘরমুখো মানুষের কারণে এটি উদ্বেগজনক ভাবে না বাড়লেও কিছুটা বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে প্রত্যেককেই সচেতন হতে হবে। আর এ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। মাইকিং করে সকলকে সচেতন হতে বলা হচ্ছে। এছাড়া ইমাম সাহেবদেরও বলা হয়েছে এ বিষয়ে খুতবায় আলোচনা বা অন্যান্যভাবে মানুষকে সচেতন করতে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল