‘ভাঙ্গাকে বদলে দিতে হবে। সকল ধরনের সংঘর্ষ বন্ধ করতে হবে। ভাঙ্গা থেকে মাদক, বাল্যবিবাহ, সন্ত্রাস ও ওয়েলকাম পার্টির অত্যাচার চিরতরে উচ্ছেদ করা হবে। চায়না দুয়ারি জালের মতো জাল পেতে সকল সন্ত্রাসী ও তাদের ডিম পোনা ধরা হবে। কোনো পরিচয় দেখা হবে না।’
সোমবার বেলা ১১টায় ভাঙ্গায় ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ফরিদপুর জেলা কোর কমিটির সঙ্গে ভাঙ্গা উপজেলার জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।
জেলা প্রশাসক বলেন, সকল সমস্যার মূলে রয়েছে অশিক্ষা। ভাঙ্গায় শিক্ষার হার মাত্র শতকরা ২৫ ভাগ। শিক্ষার হার না বাড়ালে সংঘর্ষ চলতেই থাকবে।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলে পাট ও পিয়াজ উঠলেই মারামারি বেড়ে যায়। ফরিদপুরের বড় দুর্যোগ অশিক্ষা। পড়ার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। শিক্ষার ব্যাপারে সজাগ হওয়ার জন্য তিনি মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সমাজে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চেষ্টা করবে, তাদের বাড়িতে শান্তির ঘুম আর ঘুমাতে দেওয়া হবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান। আরও বক্তব্য রাখেন ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান, ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তালাত মাহমুদ শাহানশা, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন, সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান রাজা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলিম মিয়া রুমি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব হোসেন মোতালেব, আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিক মিয়া, ভাঙ্গা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মুন্সি, ভাঙ্গা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার হোসেন, খন্দকার মাসরুর রহমান ও ভাঙ্গা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জগদীশচন্দ্র মালো। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম ও মন্দিরের পুরোহিতসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই