“আমরা চাই প্রতিবন্ধীসহ সকল শিশু বিদ্যালয়ে আসুক” এই প্রতিপাদ্যে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার অধিকার আদায়ে এক মিনিট ঘণ্টাধ্বনি বাজিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলো দিনাজপুরের বীরগঞ্জের প্রতিবন্ধি শিশুরা।
সোমবার সকালে বীরগঞ্জের মরিচা ইউপির খামারখড়িকাদাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিশু ও প্রতিবন্ধী শিশুরা একসঙ্গে ঘণ্টা, ঢোল, বাদ্যযন্ত্র এমনকি থালা বাসন বাজিয়ে এই প্রতীকী কর্মসূচি পালন করে। “উই রিং দ্য বেল” নামক বিশ্বব্যাপী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে দীপ শিখার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
যে সমস্ত প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলে যেতে পারে না তাদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অন্য সকল প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধী নয় এমন সকল শিশু, তাদের শিক্ষক, অভিভাবক ও এসএমসির সদস্য মিলে দুপুর বারোটা থেকে বারোটা এক মিনিট পর্যন্ত একযোগে ঘণ্টাধ্বনির এ কর্মসূচী পালন করেন।এসময় খামারখড়িকাদাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল কাদের, বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আজিজুল ইসলাম, খামারখড়িকাদাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রোকনুজ্জামান, ভবাণীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম, দীপ শিখা এরিয়া ম্যানেজার ও ফোকাল পারসন মো. রজব আলী মন্ডল ও সিইপি প্রকল্পের ফ্যাসিলিটেটরবৃন্দসহ শিক্ষিক, অভিবাবক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দীপশিখা এরিয়া ম্যানেজার ও ফোকাল পারসন মো. রজব আলী মন্ডল বলেন, “উই রিং দ্য বেল” ক্যাম্পেইনটি নেদারল্যান্ড ভিত্তিক লিলিয়ান ফাউন্ডেশনের একটি উদ্যোগ যা বাংলাদেশে এর কৌশলগত অংশীদার সিডিডি সারাদেশে পালন করছে। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষায় সহায়তা প্রদান ও সকলকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য লিলিয়ান ফাউন্ডেশন ডিআরআরএ-কে সহায়তা করছে এবং ডিআরআরএ এর স্থানীয় অংশীদার দীপশিখার মাধ্যমে বীরগঞ্জের মরিচা ইউনিয়নে তা বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু বাংলাদেশে ও সারা বিশ্বে এ বিষয়ে সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজন। এসব স্কুল প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য আক্ষরিক ও চরিত্রগতভাবে আরও বেশি প্রবেশগম্য হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণ যেন প্রতিবন্ধী শিশুদের চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং শিক্ষা যে প্রতিবন্ধী শিশুরও মৌলিক অধিকার সেটা যেন সকলে অনুধাবন করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল