এক দফা দাবি আদায়ে ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চ করবে বিএনপি। এই কর্মসূচি সফল করতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এতে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেবে বলে আশা বিএনপির নেতাদের।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এই রোডমার্চ ঘিরে তৈরি হয়েছে উত্তাপ। রোডমার্চের সময় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের শঙ্কা রয়েছে।
ফরিদপুরের বিভাগীয় রোডমার্চে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি থাকবেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল আবেদীন ফারুক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু, বিএনরি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির মধ্যে কোন্দল বিরাজ করছে। সম্প্রতি বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপির দুই গ্রুপ একত্রিত হয়ে গোয়ালন্দ মোডে রোডমার্চের সভার পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। পরে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. আসলাম মিয়া ও রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন আর রশিদ হারুন গ্রুপ গোয়ালন্দ মোড়ে জনসভায় করা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
অন্যদিকে, গোয়ালন্দ-ফরিদপুর মহাসড়কের বসন্তপুর এলাকায় রোডর্মাচের জনসভা করবেন জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম ও রাজবাড়ী- ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুল হক সাবু। সেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় উপস্থিত থাকবেন।
গোয়ালন্দ মোড়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সাধারণ মানুষ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. আসলাম মিয়া বলেন, মূলধারার বিএনপি বলতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব নিয়ে কমিটিকে বোঝায়। আমরা সেই কমিটির সাথে নিয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মী গোয়ালন্দ মোড় থেকে রোডমার্চ শুরু করবো। গোয়ালন্দ মোড়ে আমাদের জনসভা রয়েছে। আমরা হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে রোডমার্চ সফল করবো। আমরা কোন সংঘর্ষে জড়াবো না, তবে কেউ আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করলে শক্তভাবে সেই হামলা প্রতিহত করা হবে।
অন্যদিকে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি পালন করবো। হাজার হাজার নেতাকর্মী এই কর্মসূচি পালন করার জন্য কয়েকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। আশা করছি শান্তিপূর্ণ রোডমার্চ হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত