হরতাল-অবরোধ ও নৈরাজ্য-নাশকতায় জননিরাপত্তা যেন বিঘ্ন হতে না পারে সে লক্ষ্যে কুষ্টিয়ায় অন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে টহল দিচ্ছে বিজিবি। এদিকে তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা এ দফার হরতালের দ্বিতীয় দিনেও কুষ্টিয়ায় তেমন প্রভাব পড়েনি। দূরপাল্লার বাসও চলাচল করছে। স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল। খুলেছে দোকান ও অফিস-আদালত।
সোমবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজ থেকে ৪৭ ব্যাটালিয়ানের এক প্লাটুন বিজিবি নামে শহরে। তারা শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট ছাড়াও কুষ্টিয়া থেকে খুলনা, রাজশাহী ও দৌলতদিয়া মহাসড়কে টহল দিতে থাকে। বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সামনে নির্বাচন তাই নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করবে তারা। নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসলে প্লাটুন সংখ্যা বাড়ানো হবে।
এদিকে সোমবার সকাল থেকেও কুষ্টিয়া-দৌলতদিয়া, কুষ্টিয়া-খুলনা, কুষ্টিয়া-রাজশাহী সব রুটেই নিয়মিত বাস ছেড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি আশপাশের জেলা মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গাতেও বাস চলাচল করছে। বরিশাল ও ফরিদপুরের বাসও যেতে দেখা গেছে। সংখ্যায় কম হলেও চলছে ঢাকা-কুষ্টিয়া রুটের বাসও। কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর থেকে ঢাকা-কুষ্টিয়া রুটে দুএকটি বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়াও চার চাকার হিউম্যান হলার, তিন চাকার সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চলছে অন্যান্য দিনের মতই। সব রুটের যানবাহন দাড়াচ্ছে খুলনা, রাজবাড়ী ও রাজশাহী রুটের মিলনস্থল কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড়ে। এখান থেকে আরো যাত্রী নিয়ে চলে যাচ্ছে যার যার গন্তব্যে। পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, অনেকটাই স্বাভাবিক বলা যায় যান চলাচল। আগের চেয়ে যাত্রী অনেক বেড়েছে। বিজিবির টহল দেখে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
রেলপথে ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। কুষ্টিয়া স্টেশনে সব ট্রেন সময়মতো এসেছে, ছেড়েও যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনের বুকিং ইনচার্জ সাইদুজ্জামান।
এদিকে, এবারও হরতালের পক্ষে বিএনপি-জামায়াতের কোন নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। তবে, নাশকতা এড়াতে শহরে ও সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কিছুক্ষণ পর পর দেখা যাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল।
আর জেলার বিভিন্ন এলাকায় হরতালবিরোধী অবস্থান ও মিছিল-সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।
বিডি প্রতিদিন/এএ