প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার স্বর্ণের বার আত্মসাতের ঘটনায় যশোর ডিবি পুলিশ বেনাপোল পৌরসভার এক কাউন্সিলরসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে। গত ২ দিনে বেনাপোল ও ঢাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২টি গাড়ি জব্দ করেছে যশোর ডিবি পুলিশ।
গত ১৬ নভেম্বর বেনাপোলের সুবর্ণখালী গ্রামের ওমর ফারুক ওরফে সুমন (২৬) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ মাগুরার আলমখালী থেকে উদ্ধার করার চার দিনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটক করে পুলিশ। এর আগে গত ১১ নভেম্বর ওমর ফারুককে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় ওমর ফারুকের মা ফিরোজা বেগম অপহরণের ২দিন পর বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকার শাখারী বাজার এলাকা থেকে গতকাল শনিবার মাইক্রোবাসের চালকসহ স্বর্ণ চোরাকারবারী অন্জন, ডালিম কুমারকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেন এবং তার দুই শ্যালক ইজাজ ও ইফাজকে আজ বেনাপোল সাদিপুর গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। নিহত ওমর ফারুক সুমন শার্শা থানাধীন টেংরালী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে ও পেশায় একজন রং মিস্ত্রি। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১১ নভেম্বর দুপুরে ওমর ফারুক বাসা হতে কালো রং এর পালসার মোটরবাইকে বিয়ের জন্য পাত্রী দেখার উদ্দ্যেশে বাসা হতে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরদিন সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোনে ওমর ফারুকের অপহরণের বিষয়টি তাদেরকে জানায়।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩ কেজি সোনার বার আত্মসাৎ করে স্বর্ণ বহনকারী ওমর ফারুক। এর জেরে ওমর ফারুককে পোর্ট থানার পাশের একটি তিন তলা ভবনের কক্ষে আটকে রেখে রাতভর মারধর করে সোনা চোরা কারবারের সাথে জড়িতরা। তারা স্বীকারোক্তি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তাকে মাগুরায় নিয়ে খুন করে এবং এসিড দিয়ে মুখ ঝলসে দেয়।
আটক ইজাজ হোসেন পুলিশের নিকট ওমর ফারুককে অপহরণ করে হত্যা করার বিস্তারিত তথ্য স্বীকার করেছে। আটকরা বর্তমানে যশোর ডিবি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল