মালবাহী কন্টেইনার ট্রেনের গতি বেশি থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। কাঠের স্লিপারগুলো পরিবর্তন না করা পর্যন্ত রেললাইনের ক্ষতিগ্রস্ত ওই এলাকা দিয়ে সকল ট্রেনকে ১০ কিলোমিটার গতিতে চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, জেলা শহরের কলেজপাড়ার লেবেল ক্রসিং এলাকার আউটার সিগনাল থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত সকল ট্রেন ১০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। নতুন রেললাইন বসানো হয়েছে। সেখান সোমবার সকাল থেকে রেলের লোকজন কাজ শুরু করেছে। কাজ শেষ হলে সকল ট্রেন পূর্বের গতিতে চলবে।
গতকাল রবিবার সকালে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়। লাইনচ্যুত হওয়ার সাড়ে ১০ ঘণ্টা পর রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মালবাহী ট্রেনের পেছনের লাইনচ্যুত বগির চারটি চাকা উদ্ধার করে লাইনে তোলা হয়। আর ১৪ ঘণ্টা পর ঢাকামুখী আপলাইন স্বাভাবিক হয়। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেল দুর্ঘটনায় রেলওয়ের ঢাকার সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা-১ (এটিও) সাজেদুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে রেলের ঢাকা বিভাগ। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ঢাকা রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী (সংকেত) ও সহকারী মেকানিক্যাল প্রকৌশলী (অপারেশন) এবং আখাউড়া রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (রেলওয়ে) মেহেদী হাসান আহমেদ বলেন, গতি বেশি থাকায় মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কাঠের স্লিপার পরিবর্তন করে নতুন স্লিপার লাগানো পর্যন্ত রেললাইনের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা দিয়ে ১০কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল
