জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ডলি সায়ন্তনীর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আশায় রয়েছেন পাবনা-২ (সুজানগর-আমিনপুর) নির্বাচনী এলাকার মানুষ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর মনোনয়নে আসনটিতে ডলি সংসদ সদস্য প্রার্থী হলেও, ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত ঋণ জটিলতায় তার প্রার্থীতা বাতিল করেছেন রিটার্নিং অফিসার। ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করে নির্বাচন কমিশনে মঙ্গলবার আপিল করেছেন ডলি সায়ন্তনী। আপিলে বিজয়ী হয়ে ডলি সায়ন্তনীকে নির্বাচনী মাঠে দেখার আশায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় নির্বাচন নিয়ে খুব বেশী আগ্রহ ছিলো না সাধারণ মানুষের। তবে, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী বিএনএম এর প্রার্থী হয়ে পাবনা-২ আসনে ভোট করার ঘোষণা দিলে সাড়া পড়ে যায় এলাকার মানুষের মাঝে। ডলির এলাকায় তেমন যাতায়াত না থাকলেও, হঠাৎ চমকপ্রদ এই খবরে শোরগোল শুরু হয়। নির্বাচনে ভোটের হিসাব নিকাশের বাইরে ডলি সায়ন্তনীকে এলাকায় কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত হন তার ভক্তরা। বরণের প্রস্তুতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও ডলি সায়ন্তনীকে স্বাগত জানিয়ে পোস্ট করেন এলাকার মানুষ। তবে, প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় মন খারাপ হলেও, আপিলে ডলির প্রার্থীতা ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, পাবনা ২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবীরের নৌকা প্রতীকের বাহিরে যাওয়ার সুযোগ নেই আমাদের। তবুও নিঃসন্দেহে ডলি সায়ন্তনী আমাদের এলাকা থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা চমক সৃষ্টি করেছে। আমরা ইতিমধ্যেই তাকে ভোটের মাঠে স্বাগত জানিয়েছি। তিনি নির্বাচনে থাকলে আমাদের এলাকায় ভোট উৎসব পূর্ণতা পাবে।
এ বিষয়ে কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী বলেন, নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণায় আমি ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। পাবনায় মানুষের ভালোবাসায় আমি অভিভূত। এলাকার ভোটারদের কাছ থেকে, জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছি, ফোন পাচ্ছি। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার ছোট একটা ক্রেডিট কার্ডের ঝামেলা ছিল, যেটা আমার নলেজে ছিল না। বিষয়টি সমাধান করে আপিল করেছি, ইনশাআল্লাহ প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে শিগগিরই এলাকায় যাবো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল