পূর্ব শত্রুতার জেরে বগুড়ায় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল ইসলামের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ মন্ডলকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর খুনিরা ভারতে পালাতে না পেরে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে গিয়ে তাবলীগ জামাতের সাথে মিশে আত্মগোপন করে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বগুড়া জেলা পুলিশ অভিযুক্তদের মঙ্গলবার রাতে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বগুড়া শহরের নিশিন্দারা পূর্ব খাঁপাড়া এলাকার মিলু শেখের ছেলে সাকিব শেখ (২৩) ও সানমুন শেখ ওরফে সালমন (২৪) এবং একই এলাকার হাতেম আলীর ছেলে হিমেল শেখ (২৪)। এদের মধ্যে সাকিবের নামে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে।
বুধবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া এলাকায় বগুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল ইসলামের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফকে কুপিয়ে হত্যা করে। এর আগে গত ৭ অক্টোবর আরিফের ভাগ্নে মুহিমের সাথে কথা-কাটাকাটি হয় সাকিবের। এর জেরে সাকিবকে ছুরিকাঘাত করে নিহত আরিফ। এ ঘটনায় সাকিবের বাবা মিলু বাদী হয়ে আরিফকে প্রধান আসামি করে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আরিফকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পরে জামিনে মুক্ত হয় সে।
আরিফ জামিনে মুক্ত হলে সাকিব ও তার সঙ্গীরা মিলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ার আরজু ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে হাসুয়া, এসএস পাইপ ও লোহার রড নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। এ সময় আরিফ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তার পথরোধ করে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
আসামিরা প্রথমে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। এমনকি তারা হিলি বর্ডার দিয়ে ভারত যাওয়ারও চেষ্টা করে। উপায় না পেয়ে তারা পরিকল্পনা পরিবর্তন করে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে অবস্থান নেয়। তাদের পরিকল্পনা ছিল মসজিদে পূর্ব থেকে অবস্থানরত তাবলীগ জামাতের মুসল্লি সেজে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে আত্মগোপন করবে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া সদর থানার টিম, এন্টি টেররিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল