রংপুর অঞ্চলে এখন শীতের আমেজ বিরাজ করছে। শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিতে গিয়ে দ্বগ্ধ হওয়ার সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে আগুনের উত্তাপ নিতে গিয়ে ১২ নারী দগ্ধ হয়ে রমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শীত যত বেশি হবে ততই রোগীর সংখ্যা বাড়বে।
রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রমেক হাসপাতালে দগ্ধ রোগী রয়েছেন ৫৩ জন। এর মধ্যে ১০ জন বার্ন ইউনিটে, ৬ নং ওয়ার্ডে ১৫ জন, ১৬ নং ওয়ার্ডে ৯ জন এবং ১৮ নং ওয়ার্ডে ১৯ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে শীতের হাত থেকে বাঁচতে খড়-কুটা জ্বালিয়ে উত্তাপ নেয়ার সময় রংপুর ও আশপাশ এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার দুপুরে বার্ন ইউনিটে কথা হয় লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার বিথি বেগমের (৩৫) স্বজনদের সাথে। তার স্বজনরা জানালেন, কয়দিন আগে বিথি বেগম সন্তান প্রসব করেছেন। সন্তান প্রসবের পরে আগুনের উত্তাপ নিতে গিয়ে তিনি দগ্ধ হয়েছেন। রংপুরের দর্শনা এলাকার নাসরিন বেগম (৩৬) জানালেন, ১০ দিন আগে তিনি বাড়ির উঠানে খড়কুটা দিয়ে আগুনের উত্তাপ নিচ্ছিলেন। হঠাৎ তার শরীরের ম্যাক্সিতে আগুন লেগে যায়। তিনি ১০ দিন থেকে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। তার মত আরও ১২ নারী শীতের হাত থেকে বাঁচতে আগুনের উত্তাপ নিতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. এম এ হামিদ পলাশ জানান, প্রতিবছরই আগুন তাপাতে গিয়ে দগ্ধ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এজন্য জনগণের সচেনতা প্রয়োজন। আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিচ্ছি শীতের হাত থেকে বাঁচতে যাতে কেউ খড় কুটা জ্বালিয়ে আগুন না তাপায়। গরম কাপড় পরিধান করা, আগুন না পোহানো এবং বৃদ্ধ ও শিশুদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘুমাতে যাওয়া ও দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা জরুরী। এ নিয়মগুলো মানলে অগ্নিদগ্ধের সংখ্যা কমবে বলে তিনি মনে করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম