নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চনপাড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) সমর্থিত ইউপি সদস্য শমসের আলীর নেতৃত্বে তার লোকজন ৩৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা ও তাদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার মঠেরঘাট এলাকায় অবস্থিত রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান মাসুদ, মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক এবং আলাউদ্দিন, আব্দুর রশিদ, আব্দুল হক ও সানাউল্লাহসহ আরো অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করে বলেন, সোমবার দুপুরে ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা স্বতন্ত্র প্রার্থী (কেটলি) শাহজাহান ভূঁইয়ার নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় যান। এদিকে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন ইউপি সদস্য শমসের আলী ও তার লোকজন। এসময় মুক্তিযোদ্ধারাও চনপাড়ায় পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়ার পক্ষে লিফলেট বিতরণ করে ভোট চাইছিলেন।
এর এক পর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে গাজী সমর্থিত ইউপি সদস্য শমসেরের নেতৃত্বে তার লোকজন নৌকার একটি মিছিল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেলেন। এসময় শমসের ও তার লোকজন মুক্তিযোদ্ধাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে শমসের ও তার লোকজন প্রচারণা ও গণসংযোগকালে মুক্তিযোদ্ধা হাসান মাসুদ, মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, মুক্তিযোদ্ধা ছানাউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়াসহ উপস্থিত ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করেন এবং নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেন। হামলাকারীরা শুধু এতেই ক্ষান্ত হননি- তারা মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হককে অন্ডকোষে লাথি দিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে শমসেরের লোকজন মুক্তিযোদ্ধাদের চনপাড়া থেকে গালিগালাজ করে বের করে দেন।
মুক্তিযোদ্ধারা আরো অভিযোগ করেন, আমরা বহুকষ্টে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর নির্মমভাবে হামলা চালিয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক। আমরা মুক্তিযোদ্ধরাই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে যদি প্রচারণা করতে না পারি তাহলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা চিন্তা করেন। আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাছে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক