সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চুরি করতে গিয়ে দেখে ফেলায় ফেরদৌস আলী (১৮) নামে একটি মিলের নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ফেরদৌসের মরদেহ ওই মিলের ভিতরে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল।
ঘটনার ৫ দিন পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরকে আটকের পর তথ্যমতে পুলিশ বুধবার সকালে ওই মিলের ভিতর থেকে মাটি খুঁড়ে ফেরদৌসের মরদেহ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডের শিকার ফেরদৌস আলী শাহজাদপুর থানার মশিপুর গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে। আটক চোর একই থানার ঘোরশাল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. মামুন (৩০)।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল বাশার জানান, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পাশে মশিপুরে টেক্সাটাই মিলসে নিরাপত্তা প্রহীর চাকরী করত। গত ৫ জানুয়ারী সন্ধ্যায় ফেরদৌস আলী ডিউটির জন্য মিলে আসেন। পরদিন সকালে বাড়ীতে ফিরে না গেলে স্বজনরা মিলে এসে তাকে পায় না। এ ঘটনায় স্বজনরা থানায় সাধারন ডায়েরী করেন। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মামুন আলীকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে সকালে ওই মিলের ভিতরে মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় ফেরদৌসের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধারের পর মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আটক মামুন ওই মিলে চুরি করতে আসে। এ সময় নিরাপত্তা প্রহরী ফেরদৌস দেখে ফেলায় তার সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ফেরদৌসের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন মৃত নিশ্চিত করতে তার মুখে কম্বল ঠেসে ধরে। এরপর ফেরদৌসের লাশ মাটিতে পুঁতে রেখে মোবাইল নিয়ে চোর মামুন চলে যায়।
তিনি আরো জানান, হত্যা ব্যবহৃত কম্বল ও ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম