কয়েক দিন থেকে রংপুর অঞ্চলে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত বয়ে যাচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা হুমকির মুখে পড়েছে। এ ধরনে আবহাওয়া আরও কয়েক দিন থাকলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে। বীজতলা নষ্ট হলে বোরোর চারার সংকট দেখা দিবে। ফলে বোরো আবাদ কমে যেতে পারে। তবে কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ৮ লাখ ৭ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বীজ উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ১৭৬ হেক্টর জমিতে।
দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলার অধিকাংশ চারাই লালচে হলুদ হয়ে গেছে। লালচে হওয়ার পর আস্তে আস্তে পাতার আগা শুকিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বীজতলা রক্ষায় কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে রাতে পানি রাখছে বীজতলায় এবং সকাল হলে তা সরিয়ে ফেলছে।
পীরগাছা উপজেলার কল্যানি ইউনিয়নের চাষি বুলবুল আহমেদ, কাউনিয়ার আফজাল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, ঘন কুয়াশার কারণে তাদের বীজতলা লালচে হয়ে যাচ্ছে। এরকম আবহাওয়া থাকলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এখনও বীজতলা নষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা তৈরী হয়নি। তবে এরকম আবহাওয়া আর কিছু দিন থাকলে বীজতলা নষ্ট হতে পারে। এ জন্য কৃষি অফিস থেকে আমরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম