বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী আজহারুল ইসলাম শান্ত (২৪) হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টায় শহরের সাতমাথায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, শান্তকে গত ২ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চকফরিদ এলাকায় এজাহারনামীয় ১১ জন ও অজ্ঞাত আরও ৮ থেকে ১০ জন হত্যা করে পালিয়ে যায়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহতের মা মোছা. রাবেয়া খাতুন। বক্তব্যে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আসামিদের মধ্যে হিরা, সুমন, রাতুল ও রাব্বি চারজন গ্রেফতার হলেও বাকি আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাকি সাতজন আসামি-কমরেড, মিরাজ, রবিউল, হামিদুল, ওমর ফারুক, মেহেদী ও মোজাহিদ। হত্যা মামলার আসামি হলেও এখন পর্যন্ত তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তিনি আরও বলেন, তার ছেলে নিরাপরাধ। সে বাসার সামনে তার নিজস্ব অফিসে অবস্থান করাকালে চাঁদা নিতে আসে। আসামিরা চাঁদা না পেয়ে তাকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামি ও এ পর্যন্ত যারা গ্রেফতার হয়নি, তাদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। এ ঘটনায় নিহতের মা রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নিহতের খালা রাশেদা বেগম, খালাতো বোন রাজিয়া সুলতানা, হাসিবুল ইসলাম, আফিউল, আতিক হাসান, সোহান রহমান, শাহাদত, আবুল হোসেন, সৈকত, তাসিম, ইমরান ও সবিজ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শান্ত সৈয়দ আহমেদ কলেজের স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়ালেখার পাশাপাশি ইন্টারনেটের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। ব্যবসার সুবাদে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করতো। শান্ত চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এক পর্যায়ে অটোরিকশা যোগে এসে আসামি কমরেডের নেতৃত্বে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই