১৫ মে, ২০২৪ ২০:১৬

ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগের ১৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগের ১৭ নেতাকর্মীর
বিরুদ্ধে মামলা

ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সুলতান হোসেন খান ও তার উঠান বৈঠকে হামলা গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফুর রহমান খানসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় সুলতান হোসেন খানের ভাই হেমায়েত উদ্দিন খান বাদী হয়ে বুধবার রাতেই দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৪ মে রাতে এ ঘটনার পর পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলো আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খান আরিফুর রহমান, জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির, যুবলীগ নেতা কাউন্সিলর কামাল শরীফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ মধু ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজসহ মোট ১৭ জন।
মামলায় বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ঝালকাঠি পৌরসভার কীর্তিপাশা মোড়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমার আপন ভাই সুলতান হোসেন খান উপজেলা নির্বাচনের ঝালকাঠি উপজেলার একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। আমার ভাইয়ের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণার পর হতে অপর প্রার্থী আরিফুর রহমান খানের নির্দেশে মামলার আসামিরা ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। ভাইয়ের নির্বাচনি প্রচারণার অংশ হিসাবে ১৪ মে সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে কৃর্তীপাশা মোড়ে উঠান বৈঠক চলছিল।

এ সময় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ খান আরিফুর রহমানের নির্দেশে সকল আসামিরা দা, লোহার রড, চাপাতি, হটস্টিক, জিআই পাইপ, রামদা, দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আমার ভাইয়ের উঠান বৈঠকে অতর্কিতভাবে হামলা ও মারপিট শুরু করে। আসামি মোঃ কামাল শরীফের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের মাথা লক্ষ্য করে কোপ দেয়। আমার ভাই সরে যাওয়ায় উক্ত কোপ তার ডান বাহুতে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় অপর আসামিদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ভাইসহ কর্মী সমর্থকরা আহত হয়। তখন ভাইয়ের ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর করে তার সাথে থাকা আইফোন ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আমার ভাবিসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার ভাইসহ অন্যান্য ভিকটিমদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাৎক্ষনিক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এদিকে ১৪ মে সুলতান হোসেন খানের উপর হামলার ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে আরিফুর রহমানের সমর্থক জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলফি শাহরুন শুভ, ইশতিয়াক আহমেদ ও তুহিন হাওলাদারকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, আটক ৩ জনের মধ্যে একজন এ মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি। অন্য ২ জন সন্দিগ্ধ আসামি। অপরদিকে প্রতিপক্ষ খান আরিফুর রহমানের পক্ষ থেকে পাল্টা একটি অভিযোগ এজাহার হিসেবে প্রক্রিয়াধীন আছে।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর