বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ও হাসপতালে রোগী ও লাশ পরিবহন কাজে ব্যবহৃত বেসরকারী অ্যাম্বুলেন্স পরিবহন সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে চালক ও মালিক পক্ষ। গত সোমবার সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্স মালিক মো. আরিফ ও তার গাড়ি চালক মো. সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ছিলিপুর এলাকায় ধর্মঘট পালন করে বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ পরিষদ বগুড়া জেলা শাখা।
সংগঠনের বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি জাকির হোসেন বেবী ও সাধারণ সম্পাদক বাকিরুল ইসলাম বলেন, শজিমেক থেকে নিয়মিতভাবে রোগী আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত আনিকা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস এর মালিক মো. আরিফ ও তার গাড়ি চালক মো. সুমন একটি রোগীকে বাড়ি পৌছে দেওয়ার জন্য হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে যায়। এমন সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে সকল অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বন্ধ করে দেয় সংগঠনটি। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় আরো দুজন চালককে হেনস্তা করা হয়। এছাড়া ইতিপূর্বে একাধিক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ বিষয়ে একটি স্থায়ী সমাধান চাই।
তারা আরও বলেন, এই সরকার অ্যাম্বুলেন্সকে সেবা খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এই সেবা দিয়ে থাকি। এছাড়া জরুরী সেবা ৯৯৯ আমরা সেবা দেই। গরীব, অসহায়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আমরা ফ্রি সার্ভিস দিয়ে থাকি। বাংলাদেশের সকল হাসপাতালগুলোতে অ্যাম্বুলেন্স রাখার জন্য পার্কিং এর সুব্যবস্থা আছে। কিন্তু এই হাসপাতালে পার্কিং এর সুবিধা থাকলেও আমাদের গাড়িগুলোকে সেখানে রাখতে দেয়া হয় না। অথচ সিএনজি ও থ্রি হুইলার গাড়িগুলো এই পার্কিং থেকে নিয়মিত চলাচল করে। এই সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকবো।
এদিকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বগুড়া জেলার বাহিরের রোগীর স্বজনরা। বাধ্য হয়ে তারা ভ্যান সিএনজি ও ট্রাকে করে লাশ ও রোগী নিয়ে যাচ্ছেন।
বগুড়া স্টেডিয়াম ফাড়িঁর ইনচার্জ মিলাদুন্নবী বলেন, আমরা কাউকে গ্রেফতার করিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আমরা আইনী প্রক্রিয়ায় তাদেরকে রাতেই ছেড়ে দিয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল