ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে রংপুর অঞ্চলের প্রকৃতি একদিনের জন্য শীতল হওয়ার পরে পুনঃরায় দাবদাহে পুড়তে শুরু করেছে। আকাশের কোথাও মেঘের ছিটেফোঁটা নেই। একদিনের ব্যবধানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। প্রকৃতির এমন আচরণে মানুষের মাঝে বিস্ময় জেগেছে। দক্ষিণে ঝড়-বৃষ্টির কারণে মানুষ যখন নাকাল সেই সময় উত্তরের মানুষের তাপদাহে হাঁসফাঁস উঠেছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মে মাসে রংপুর অঞ্চলে সাধারণত কমবেশি বৃষ্টিপাত হয়ে। কখনও কখনো টানা কয়েদিন বৃষ্টি হয়। কিন্তু এবার মে মাসে রংপুরের মানুষ বৃষ্টির দেখা খুব কমই পেয়েছে। দাবদাহের কারণে কৃষকরা বাড়তি খরচ করেছে সেচের পিছনে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কোন প্রভাব পড়েনি এই অঞ্চলে।
তবে সোমবার সারাদিন টুুপটাপ বৃষ্টি ও কিছুটা দমকা বাতাস মানুষের মাঝে কিছুটা শীতল পরশ এনে দিয়েছিল। সোমবার সারা দিন বৃষ্টি হয়েছে ২১ মিলিমিটার। সেই সাথে তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রকৃতি আবারও রুদ্র রূপ ধারণ করেছে। প্রচণ্ড রোদে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে আসে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রংপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চিল ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যাবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। ফলে আবারও জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল