কুমিল্লায় বিনা (বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট) উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তির পরিচিতি, চাষাবাদ ও সংরক্ষণ কলাকৌশল শীর্ষক কিষান ও কিষানি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকালে জেলার ভারত সীমান্তবর্তী বুড়িচং উপজেলায় জেলার একমাত্র বিনা কৃষি ভিলেজ পাহাড়পুরে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তেলজাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে গত অর্থবছরে ৮৪০ মিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হ্রাস পায়। কুমিল্লায় তেলজাতীয় ও স্বল্পমেয়াদী ফসল উৎপাদনে সহায়তা অব্যাহত থাকবে। পাহাড়পুরের কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি, ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা। আমরা তার ব্যবস্থা করছি। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হব। আমাদের খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকবে। বিনা কৃষি ভিলেজে বাংলাদেশ বদলে যাবে। বাংলাদেশে ১৪টি বিনা কৃষি ভিলেজ আছে। ধীরে ধীরে এ ভিলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিনা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প কুমিল্লা অঞ্চলের মনিটরিং অফিসার আবু তাহের ও বুড়িচং উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আফরিণা আক্তার। অনুষ্ঠানে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও উপকারভোগী কৃষকদের দলনেতা ওমর ফারুক অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
প্রশিক্ষণ শেষে কিষান-কিষানিদের মধ্যে বিনামূল্যে উচ্চমূল্যের গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে মোট ১৪টি বিনা কৃষি ভিলেজ রয়েছে। ওইসব গ্রামের ১৫টি কৃষক পরিবারকে বিনা উদ্ভাবিত বীজ ও চারা প্রদান করা হয়। এছাড়া আধুনিক কৃষি উপকরণসহ সার পান কৃষকরা। দেড় বছর আগে চালু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ পাঁচ বছর। কৃষকরা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে অন্যদের স্বাবলম্বী করবে, এটাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
বিডি প্রতিদিন/এএম