কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়ায় টানা বৃষ্টিতে অন্তত ১৫ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হারবাং ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড গাইনাকাটা এলাকায় ভারী বর্ষণের ফলে ১৫টি কাঁচা ঘর ধ্বসে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থান করা লোকজনকে সরিয়ে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের নলবিলা এলাকায় বন্যার পানিতে শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বয়স্ক ও শিশু ও নারীরা বিপাকে পড়েছেন। কাছে সাইক্লোন শেল্টার ও স্থানীয় লোকজনের বিল্ডিংয়ে অনেককে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। তবে শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানি নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা রয়েছে।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.ছালেকুজ্জামান বলেন, পহরচাঁদা এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকায় নিজ তহবিল থেকে সাধ্যমত শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
কৈয়ারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মক্কি ইকবাল হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়ন মাতামুহুরী নদী বেষ্টিত হওয়ায় অধিকাংশ ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উপকূলীয় এলাকার ৫ ইউননিয়ন, বদরখালী, কোনাখালী, পশ্চিম বড় ভেওলা ও ঢেমুশিয়া এলাকায় পানি নিস্কাশনে জলমহালের স্লুইইচগেট খুলে দেয়া হয়েছে। এসব এলাকায় মৎস্যঘের, ধানক্ষেত ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যায়।
অপরদিকে পেকুয়ার টৈটং, উজানটিয়া ও রাজাখালী, শিলখালী ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা এলাকায় অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে অন্তত ১০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের জন্য একটি চাহিদাপত্র জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে। এসব পণ্য হাতে এলে দুর্গত এলাকায় বিতরণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল