কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌর বাস টার্মিনালে রবিবার সকাল ১০ টায় আয়োজিত বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ প্রশাসনের মৌখিক নিষেধাজ্ঞার কারণে পণ্ড হয়ে গেছে। তবে আধিপত্য বিস্তারে একটি পক্ষ স্থান পরিবর্তন করে বাস টার্মিনাল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পথ সভা করেছে।
এসময় প্রতিপক্ষ ভেবে ভুল বোঝাবুঝিতে পথসভা করা গ্রুপেরই দু'পক্ষের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম। রবিবার (৩ নভেম্বর) কুমারখালীর শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতুর দক্ষিণপাশে এ ঘটনা ঘটে।
দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রবিবার সকাল ১০ টায় পৌর বাস টার্মিনালে আলোচনা সভার আয়োজন করেন ব্যবসায়ী শেখ সাদীর সমর্থকরা। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল শেখ সাদীর। তবে সাদীর দলীয় কোন পদ নেই। এ উপলক্ষ্যে তার সমর্থকরা সকল প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন।
এদিকে একই স্থানে একই সময়ে ঐক্য ও শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন কুষ্টিয়া ৪ আসনের সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর সমর্থকরা। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল কুমারখালী পৌর বিএনপির সাবেক সহ সম্পাদক আব্দুস সামাদ খানের। তারাও চিঠি ছাপিয়ে মাইকিং করে প্রচারণা করছিলেন। তবে একই স্থানে একই সময়ে দু'পক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশে ব্যাপক সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকায় গত শুক্রবার থেকে মৌখিকভাবে কুমারখালী পৌর এলাকায় রবিবার সকল ধরনের সভা সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন।
লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়ার ঘটনা অস্বীকার করে কুমারখালী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, শহরের মধ্যে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ। তবে একটি পক্ষ সেতুর দক্ষিণপাশে সীমিত আকারে একটি সভা করেছে। এতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে একই স্থানে বিএনপির দু'পক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ হলে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। সেজন্য সংঘর্ষ এড়াতে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাবেশে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পৌর এলাকায় কোনো সমাবেশ হয়নি রবিবার।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল