মিঠা পানিতে ইলিশের প্রজনন রক্ষার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা রবিবার (০৩ নভেম্বর) মধ্য রাতে শেষ হয়। এরপরই চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ ধরতে নেমেছে জেলেরা।
জেলেরা মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ধরা ইলিশ বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসতে শুরু করে আড়তগুলোতে। তিন সপ্তাহ পর ক্রেতা-বিক্রেতায় আবারও আড়ৎগুলো সরগরম হয়ে উঠে। নিষেধাজ্ঞার পূর্বের চাইতে ইলিশের দাম এখন কিছুটা কম।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সদরে হরিণা ফেরিঘাট গিয়ে দেখা গেছে- জেলেরা আড়তগুলোতে ইলিশ নিয়ে আসছেন। আবার অনেক জেলে নৌকা ও জাল নিয়ে পদ্মা-মেঘনায় নেমে পড়ছেন। বরফ ছাড়া এসব ইলিশ জেলের উপস্থিতিতে হাক-ডাক দিয়ে বিক্রি করছেন আড়ৎদাররা। মুহুর্তেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এসব ইলিশ।
জেলে লোকমান বলেন, ইলিশ প্রজননের ২২ দিন যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা আমরা মেনেছি। আজ সোমবার সকাল থেকেই জেলেরা ইলিশ নিয়ে আসছে। তবে ইলিশের সাইজ ছোট। বড় সাইজের ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকদিন অতিবাহিত হলে বুঝা যাবে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের বিচরণ কি পরিমাণ আছে।
তিনি আরও জানান, তারা নৌকায় নিয়ে ৩ জন ইলিশ ধরতে নেমেছেন। তাদের পাওয়া বিভিন্ন সাইজের ইলিশ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার নামবেন।
আড়তদার সেলিম শেখ বলেন, আমাদের এই ঘাটে ইলিশ হালিতে বিক্রি হয়। ছোট সাইজের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। মাঝারি সাইজের (৩০০/৩৫০ গ্রাম) এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০টাকা। ৮০০/৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫, ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকা।
ক্রেতা আক্তার হোসেন ভূইয়া বলেন, আজকে আগের তুলনায় দাম একটু কম। ২৫০/৩০০ গ্রামের ইলিশ ৪৫০ টাকা করে হালি কিনেছি। নিষেধাজ্ঞার আগে এই ইলিশ ৬০০/৭০০ টাকা প্রতি হালি বিক্রি হয়েছে।
ইলিশ গবেষক ড. কাওসার দিদার ইলিশের প্রাপ্যতা সম্পর্কে বলেন, ইলিশ পরিভ্রমণশীল মাছ। বছর জুড়েই ইলিশ ডিম ছাড়ে। কিন্তু এই সময়টাতে ইলিশ সাগর থেকে ডিম ছাড়ার জন্য মিঠা পানিতে আসে। তবে ইলিশের চলার পথ সুগম করলে জেলেরা নদীতেও বছরজুড়ে ইলিশ পাবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ