বরিশাল সরকারী ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে কর্মসূচি পালনের জন্য এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে আটক দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে জেলে পাঠানো হয়েছে। রবিবার বরিশাল মহানগর হাকিম নুরুল আমিন তাদের জেলে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
ওই ছাত্রলীগ কর্মী হলেন- বিএম কলেজের দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মো. রাশেদ খান (২৮) ও ইংরেজি বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সৌমিক বিন আলী (২৭)। এরমধ্যে রাশেদ নগরীর কাউনিয়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের সোবাহান মিয়ার পোল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রফিক খানের ছেলে এবং সৌমিক নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা কেরামত আলীর ছেলে।
কোতয়ালী মডেল থানার জিআরও এসআই এনামুল হক বলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদারের করা মামলার আসামী হিসেবে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
এরআগে সকালে আটক দুই ছাত্রলীগ কর্মীসহ কয়েকজন বরিশাল বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে আসে। তাদের সাধারন শিক্ষার্থীরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান। দুই জনকে বিএনপির র্যালিতে হামলা ও নেতাকর্মীদের হত্যার চেষ্টার উদ্দেশ্যে গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্যে আইনে করার মামলার আসামী হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়।
বিএম কলেজ শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন সোহাগ বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আজ একটি কর্মসূচি নিয়েছে। ধারবাহিকতায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের দুইজন কর্মী বেশ কয়েকজন ক্যাম্পাসে আসে। তারা নাশকতাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্তদের উপর হামলার পরিকল্পনা করে। বিষয়টি আমার জানার পরই তাদের দুজনকে আটক করা হয়। অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। আটক দুই ছাত্রলীগ কর্মীর মোবাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে নিয়ে দেয়া পোষ্ট পাওয়া গেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম