কর্মী সমাবেশে মিছিলে স্লোগান দেওয়ার সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যুবদল নেতা ফারুক। তাৎক্ষণিক তাকে হাতিয়া উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙ্গা বাজারে যুবদলের কর্মী সমাবেশে মিছিলে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মো. ওমর ফারুক (৩৫) সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শফিউল্লাহ মিয়ার ছেলে। তিনি একই ওয়ার্ডের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (বর্তমান কমিটি স্থগিত) ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ বলেন, সে আমাদের দলের একজন দুঃসময়ের ত্যাগী কর্মী ছিলেন। তার মতো একজন কর্মী হারিয়ে আমরা শোকাহত। আমরা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক।
হাতিয়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চরচেঙ্গা বাজারে যুবদল একটি কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে। ওই সমাবেশে যুবদল নেতা ফারুক স্থানীয় বাংলাবাজার থেকে মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসেন। মিছিল চলা অবস্থায় হঠাৎ তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার নাক-মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়। পরে তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলেসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তার মৃত্যুতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান শোক জানিয়েছেন। তিনি যুবদল নেতা ফারুকের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম আজমল হুদা বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। মিছিলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল