মোংলা বন্দরে চলতি বছরের শুরু থেকে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই ধারাবহিকতায় শুক্রবার দুপুরে রাশিয়া থেকে মোংলা বন্দর জেটিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে কন্টেইনারবাহী তিনটি জাহাজ নোঙর করেছে। রাশিয়া থেকে আসা জাহাজ তিনটিতে ৩৯৭ টিইইউজ পণ্য রয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। একই সময়ে বন্দরের বিভিন্ন ইউটার এ্যংকরেজে পয়েন্টে মোট ১৮ জাহাজ অবস্থান করছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, মোংলা বন্দরে চলতি বছরের শুরু থেকে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রথম দিন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ১০ দিনে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমনে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ১০ দিনে মোংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই ২৮ জাহাজ নোঙ্গর করেছে। শুক্রবার দুপুরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে দুইটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ মোংলা বন্দর জেটিতে নোঙ্গর করেছে। এরমধ্যে বারমুডা পতাকাবাহী ১৪২.৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের এম ভি পাকান্ডা এন্টিগুয়া জাহাজটি ৭.৫০ মিটার গভীরতা বোঝাই ১৯০ টিইইউজ কন্টেইনার পন্য নিয়ে বন্দরের ৭ নাম্বার জেটিতে নোঙ্গর করেছে। একই সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে পানামা পতাকাবাহী ১৮৬ মিটার বিশাল দৈর্ঘ্য ও গভীরতা ৭.১০ মিটার গভীরতা বোঝাই মার্কস ঢাকা নাওেমর কন্টেইনারবাহী জাহাজটি ২০৭ টিইইউজ কন্টেইনার পন্য নিয়ে বন্দরের ৭ নাম্বার জেটিতে নোঙ্গর করেছে। বিকালে রাশিয়ান পতাকাবাহী এম ভি মেলিনা জাহাজটি বন্দরের ৯ নং জেটিতে নোঙ্গর করছে। এই তিনটি জাহাজ ছাড়াও এখন বন্দরের বিভিন্ন ইউটার এ্যংকরেজে পয়েন্টে মোট ১৮ জাহাজ অবস্থান করছে। পশুর চ্যানেলে অবস্থানরত এই ১৮ টি বাণিজ্যিক জাহাজে আমদানিকৃত কয়লা, সার (জিপসাম,ড্যাপ ফার্টিলাইজার, টিএসপি, এম ও পি), ক্লিংকার, এলপিজি, কন্টেইনার পরিবাহী, পাথর রয়েছে।
মোংলা বন্দরের এই কর্মকর্তা আরো জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে মোংলা বন্দর দিয়ে ৪১৩টি বাণিজ্যিক জাহাজে ১০ হাজার ৩৮৬ টিইইউজ কন্টেইনার পণ্য এসছে। এছাড়া গাড়ী বহনকারী ১০টি জাহাজের মাধ্যমে ৫ হাজার ৬৩৭টি গাড়ি আমদানি হয়েছে। এ সময়ে বন্দর দিয়ে ৫২ লাখ ৮৪ হাজার ৪৭১ মে.টন আমদানি রপ্তানি পন্যের মাধ্যমে মোংলা বন্দর ২১০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছে। বিগত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের তুলনায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের মোংলা বন্দরে বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৩গ শতাংশ, কার্গোতে ৯ দশুমক ৭২ শতাংশ, কন্টেইনারে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও গাড়ি আমদানি ক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।