গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় চলমান এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সৃষ্টি হয়েছে একটি দৃষ্টান্ত। এর মাধ্যমে তরুণদের মেধা বিকাশের পথ সুগম হয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মুকসুদপুরের ৪টি কেন্দ্রে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় ৩,২০১ জন, দাখিলে ৫১৫ জন ও ভোকেশনালে ১৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে এসএসসিতে ৫ জন, দাখিলে ৩ জন ও ভোকেশনালে একজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল আর চলবে ১৪ মে পর্যন্ত।
নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা দিয়ে খুশি শিক্ষার্থী জাহানারা খানম, অন্তরা খানম, সাহারা খানম ও আয়েশা আক্তার বলেন, আগে নকল ছিল নিয়মিত ঘটনা। বাহিরের লোকজন কেন্দ্রে ঢুকে নকল সরবরাহ করত। এবার প্রশাসন, শিক্ষক ও পুলিশের কঠোর নজরদারিতে নকলের সুযোগ নেই। ফলে আমরা মেধা দিয়ে পরীক্ষা দিতে পারছি।
অভিভাবক সাজিয়া পারভীন সোমা ও লায়লা বেগম বলেন, সন্তানরা যখন নকল ছাড়াই পরীক্ষা দেয়, তখন তাদের সত্যিকারের মেধা বিকাশ ঘটে। এতে শিক্ষার মান বাড়ে।
মুকসুদপুর কামিল মাদ্রাসার কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকিয়া খাতুন বলেন, দুই দশকের বেশি সময় ধরে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছি, কিন্তু এ বছরই প্রথম এমনভাবে নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নিতে পারছি।
সরকারি মুকসুদপুর কলেজ কেন্দ্রের হল সুপার মো. লুলু হোসেন মুন্সি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনিম আক্তারের নেতৃত্বে পরীক্ষায় গুণগত পরিবর্তন এসেছে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় নকল রোধ সম্ভব হয়েছে।
কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিমোহন মণ্ডল বলেন, নকলমুক্ত পরীক্ষা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। মেধাবীরা সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনিম আক্তার জানান, নকল প্রবণতার অভিযোগ থাকায় আমরা সম্মিলিতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রতিদিন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তায় আমরা একটি নকলমুক্ত, সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পেরেছি। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ