এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালিতে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে অলোকবালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেক মিয়া নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ জন। এদের মধ্যে ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে সদর উপজেলার আলোকবালিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত সাদেক মিয়া আলোকবালি ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের রুপ মিয়ার ছেলে। তিনি অলোকবালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুমের সাথে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহআলম এর দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই মধ্যে গতবছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পলায়নের পর আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। চলতি মাসের ১৮ তারিখ আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আসাদ আলী ও তার গ্রুপের সদস্যরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহআলম এর সমর্থন নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে। ওই সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইদন মিয়া নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়। এর পর থেকে এড. আসাদ আলীর সমর্থকরা এলাকায় অবস্থান করছিল। এরই মধ্যে আজ সোমবার সকালে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে অলোকবালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেক মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নরসিংদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. এমদাদ হোসেন বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন