ভোলা শহরে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে নতুন বাজার থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সংঘর্ষে ভোলা সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আউয়াল, নিউজ২৪-এর ক্যামেরাপারসন রানা ইসলাম, দৈনিক আজকের ভোলা-এর সহসম্পাদক ও বাংলাবাজার পত্রিকা-এর জেলা প্রতিনিধি শাহরিয়ার ঝিলনসহ দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষ একে অপরকে দায়ী করেছে।
দুপুর ২টার দিকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভোলা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রাইসুল আলম বলেন, ‘বিজেপির কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা ছিল দুপুর ১২টার আগে। আমরা সংঘাত এড়াতে ১২টা ৩০ মিনিটে মিছিল শুরু করি। মিছিলটি কাবিল মসজিদের কাছে পৌঁছালে কে বা কারা ককটেল নিক্ষেপ করে। সেখান থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে তৃতীয় একটি পক্ষ রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্টের ষড়যন্ত্র চলছে।’
রাইসুল আলম দাবি করেন, তিনি ও দলের সিনিয়র নেতারা উত্তেজিত কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অপরদিকে ভোলা সদর বিজেপির প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিএনপির একটি গ্রুপ আমাদের অফিসে হামলা চালায় এবং নেতাকর্মীদের মারধর করে। এতে আমাদের অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন।’
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে নতুন বাজার ও বিজেপি অফিসের সামনে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় এখনো থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ