গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে গভীর রাতে গাছ কেটে মহাসড়কে ফেলে অবরোধের চেষ্টা করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার গোপালপুর বাজার এলাকায় ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং ঢাকা থেকে আসা হামিম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কাশিয়ানী থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে কাশিয়ানী থানা পুলিশ ও রাতইল সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সড়ক থেকে গাছ সরিয়ে ফেলে। ভোর সাড়ে ৪টার পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও কাশিয়ানীতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মোট ১৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে ৯০৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাগুলোতে এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চারটি মামলায় কোটালীপাড়ায় ২ জন এবং সদর থানায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচির সময় জেলার বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো হয়—গোপালগঞ্জ শহরের গণপূর্ত অফিসের গাড়িতে ও সদর উপজেলার উলপুর গ্রামীণ ব্যাংক অফিসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে সড়কে গাছ ফেলে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হয়।
এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ–২ আসনের সাবেক সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে শেখ নাইমকে প্রধান আসামি করে সদর থানার দুটি মামলায় ১০০ জনের নামসহ ৫৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। কোটালীপাড়া থানার মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৫৫ জনকে আসামি করা হয়। কাশিয়ানীর মামলায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখসহ মোট ২৮৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন