২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২০:৩৬

স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনসমূহের চার্জ সহনীয় করার আহ্বান আমদানিকারকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনসমূহের চার্জ সহনীয় করার আহ্বান আমদানিকারকদের

দেশের স্থলবন্দর এবং শুল্ক স্টেশনসমূহে আমদানিকৃত পণ্যের বিদ্যমান লেবার হ্যান্ডেলিং চার্জ, পণ্য লোড-আনলোড চার্জ, ইকুইপমেন্ট চার্জ প্রভৃতি কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকগণ। সেসাথে লজিস্টিকস সক্ষমতা বৃদ্ধি, যোগাযোগ ও সড়ক পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নসহ বন্দরে ব্যবসায়ীদের অযাচিত হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানান তারা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে সিলেট বিভাগের ল্যান্ড পোর্ট, বর্ডার ট্রেড, ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রান্সশিপমেন্ট বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় এসব আহ্বান জানানো হয়।

এ সময় স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন সমূহে দ্রুত রাজস্ব প্রদান, শুল্কায়ন, পণ্য খালাস এবং ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের জন্য ব্যাংক বুথ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেন ব্যবসায়ীরা।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, দেশে ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্প সম্প্রসারণের সাথে সাথে স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনসমুহ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র ভারত থেকেই আমরা বছরে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলের পণ্য আমদানি করে থাকি। যার সিংহ ভাগই আসে স্থল বাণিজ্যের মাধ্যমে। এমন পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে স্থলবন্দর এবং শুল্ক স্টেশনসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি।

এ সময় স্থলবন্দর, শুল্ক স্টেশনসহ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লিখিত আকারে সুনির্দিষ্ট মতামত ও প্রস্তাবনা আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। যৌক্তিক প্রস্তাবনাসমূহ নিয়ে এফবিসিসিআই সরকারের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।

কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ এবং এফবিসিসিআই পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমেদ জানান, সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে পাথর, চুনাপাথর, কয়লা, ফলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা হয় সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য, ফার্নিচার, পাটসহ প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য। বন্দর সমূহে কয়লা ও পাথর আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে লোড-আনলোড চার্জ অনেক বেশি। যা বাস্তবে বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তার সাথে যুক্ত হয় ১৫ শতাংশ ভ্যাট। যা আমদানিকারকদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।

আমদানিকৃত কয়লা ও পাথর দীর্ঘদিন রেখে বিক্রয় করতে হয় বিধায় আমদানিকারককে এক বছর মেয়াদী ভাড়া বন্দোবস্ত প্রদানের আহ্বান জানান তিনি। সেই সাথে বন্দরে ডাম্পিং এরিয়া বৃদ্ধির প্রস্তাব জানান তিনি।

কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ শাখাওয়াত সেলিম চৌধুরী বলেন, স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এতে করে পণ্য পরিবহনের ব্যয় কমবে। এতে ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালকবৃন্দ, কমিটির কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ, সদস্যবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর