ইসলামে হালাল খাদ্য গ্রহণ, হালাল আয়ে জীবনধারণ এবং হালাল পথে চলাকে বাধ্যবাধকতা দান করেছে। পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যার অনুসরণ ইমানদারদের অপরিহার্য কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত। ইরশাদ করা হয়েছে, 'হে মানব জাতি, ভূপৃষ্ঠে যা রয়েছে তা থেকে হালাল, পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না। নিশ্চয় সে তোমাদের সুস্পষ্ট শত্রু।'
হালাল জীবিকার দ্বারা জীবনধারণ, হালাল খাদ্য গ্রহণ, হালাল জীবনাচার পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ-শান্তি নিশ্চিত করে। যে ব্যক্তি হালাল জীবনাচারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সে চুরি, ডাকাতি, অপহরণের মতো অপরাধে জড়িত হতে পারে না। সে অপরের সম্পদ কেড়ে নিতে পারে না, তার দ্বারা কারও সম্ভ্রমহানির বিপদ ঘটতে পারে না। ইসলামী অনুশাসন অনুযায়ী আল্লাহ নির্দেশিত হালাল রিজিকের মধ্যে বান্দার কল্যাণ নিহিত। যিনি সৎভাবে আয় করেন তিনি সৎ পথে চলতে উদ্বুদ্ধ হন। পক্ষান্তরে অসৎ পথে যাদের জীবিকা আসে তারা মিথ্যার দিকে ধাবিত হয়। আখিরাতের জীবনে হালাল পথের অনুসারীদের যেমন জান্নাতের দ্বারা পুরস্কৃত করা হবে তেমন হারাম পথের অনুসারীদের স্থান হবে জাহান্নামে।
হারাম আয় সম্পর্কে ইসলামের মনোভাব আপসহীন। এ ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদিস দিক নির্দশনাযোগ্য। ইরশাদ করা হয়েছে কেউ যদি উপার্জিত হারাম সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে তবু তা গ্রহণযোগ্য হবে না এবং ওই সম্পদ থেকে বরকত উঠিয়ে নেওয়া হয়। যদি সে ওই সম্পদ পুঞ্জীভূত রাখে তবে তার জন্য জাহান্নামের রাস্তাকে সহজ করে দেওয়া হয়। (মিশকাত)
উপরোক্ত হাদিসে স্পষ্ট করা হয়েছে, যারা মনে করেন হারাম পথে উপার্জন করে তার এটা অংশ আল্লাহর পথে ব্যয় করলে গোনাহ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে তারা ভুল পথে চলছেন। হারাম তা যে কোনো বিবেচনায় হারাম এবং তা থেকে মুমিনদের দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ আমাদের হালাল পথে চলার এবং হারাম থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন।