শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন-বোনাস

ঈদের আগে বেতন ও বোনাস মিলবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ভুগছে গার্মেন্ট শ্রমিকদের একাংশ। সরকারের পক্ষ থেকে সময় বেঁধে দিলেও সে সময়ের মধ্যে বেশির ভাগ গার্মেন্টে বেতন ও বোনাস পরিশোধ না করায় নানা আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন দাবি করেছে, ৬০ ভাগ কারখানার বেতন ও বোনাস ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। আজ ৩ অক্টোবরের মধ্যে বাকি সব প্রতিষ্ঠানের বেতন-বোনাস দেওয়া হবে। স্মর্তব্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর গার্মেন্ট মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর বৈঠকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উৎসব ভাতা এবং ২ অক্টোবরের মধ্যে বেতন পরিশোধের সমঝোতা হয়। গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র দাবি ওই সময়সীমার মধ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধের বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল না। তবে তারা আশ্বস্ত করেছেন, যারা এখনো বেতন ও বোনাস পাননি আজকের মধ্যে তা নিষ্পন্ন হবে। গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ঈদের আগে বেতন ও বোনাস পাওয়া না পাওয়া সংবেদনশীলতার অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। বেশির ভাগ শ্রমিক সাধারণত স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে কর্মস্থল থেকে ঘরমুখো হন। সময়মতো বেতন ও বোনাস না পেলে তাদের বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়। যে কারণে গার্মেন্ট শিল্পের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ঈদের আগে বেতন ও বোনাস পরিশোধের বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়া উচিত। আমরা আশা করব, নিজেদের স্বার্থেই মালিকপক্ষ এ ব্যাপারে যত্নবান হবেন। কোনো কারখানায় সমস্যা থাকলে তা সমাধানে বিজিএমইএ এগিয়ে আসবে। দেশের গার্মেন্টশিল্প এখন নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশে এ শিল্পের ভালো ভাবমূর্তি গড়ে তোলার স্বার্থে মালিকপক্ষকে যত্নবান হতে হবে। যেসব কারণে শ্রমিক অসন্তোষ দানা বেঁধে উঠার আশঙ্কা থাকে তা নিরসনের উদ্যোগ নিতে হবে। এ ব্যাপারে গার্মেন্ট মালিকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। আমাদের বিশ্বাস আজকের মধ্যে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বাদবাকি অংশের বেতন ও বোনাস পরিশোধের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা পালনে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি থাকবে না। ঈদের আগে বেতন ও বোনাস না পেলে শ্রমিকদের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হবে এবং তা প্রকারান্তরে বিভেদকামী শক্তিকে লাভবান করতে পারে-যা কাম্য হওয়া উচিত নয়।

সর্বশেষ খবর