মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন

উদ্বোধনের আগেই ত্রুটি উদ্বেগজনক

ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়ক উদ্বোধনের আগেই কোথাও কোথাও হতশ্রী চেহারা ধারণ করেছে। মিরসরাইয়ে ২৯ কিলোমিটার আপলেন অংশসহ আরও কয়েকটি জায়গা দেবে গেছে। মহাসড়কের কিছু অংশের আরসিসি ঢালাইয়ে দেখা দিয়েছে ফাটল। নির্মাণ কাজের ফাঁকি যেন ধরা পড়েছে উদ্বোধনের আগেই সড়কের বিভিন্ন স্থান দেবে যাওয়ার ঘটনায়। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে কংক্রিট দেবে মহাসড়ক উঁচু-নিচু হয়ে গেছে। চার লেন সড়কের কাজ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক মাসেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী সড়কের বড়দারোগারহাট, ছোটকমলদহ, নিজামপুর কলেজ, বড়তাকিয়া, মিরসরাই সদর, মিঠাছড়া, ঠাকুরদীঘি, সোনাপাহাড়, বারইয়ারহাট এলাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটারের বেশি ডিভাইডার সংলগ্ন জায়গা দেবে গেছে। দেবে যাওয়া সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে আসা লরি, কন্টেইনারসহ দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসগুলো দেবে যাওয়া অংশ দিয়ে চলাচলের সময় বিকট আওয়াজ হচ্ছে। মহাসড়কের কুমিরা থেকে বারৈয়ারহাট পর্যন্ত জংশন এলাকাগুলোতে আরসিসি ঢালাইয়েও দেখা দিয়েছে ফাটল। এ ছাড়া সিটি গেট থেকে ফেনী পর্যন্ত ৯৩ কিলোমিটার চার লেন সড়কের নবনির্মিত অংশটুকুও দেবে গেছে ভারী যান চলাচলের কারণে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি দেবে যাওয়ার ঘটনা উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো বিষয় নয়। দেবে যাওয়া অংশে আবারও কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করার কথাও বলেছেন তারা। স্মর্তব্য, গত সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মিরসরাই অংশের ২৯ কিলোমিটার আপলেন অংশে পানি জমে বিভিন্ন জায়গায় সড়ক দেবে যায়। দেবে যাওয়া অংশ যথাযথভাবে সংস্কার করা না হলে আসন্ন ঈদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এর ফলে ঘরমুখো লাখ লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা আশা করব আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই সড়কটি যথাযথভাবে নির্মিত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। বারবার সময়, নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে চার লেনের যে মহাসড়ক তৈরি হচ্ছে তা যাতে শুভঙ্করের ফাঁকি না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর